ঢাকা, বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮ ২০২৪,

এখন সময়: ০২:৩৮ মিঃ

মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক, মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যের অফিস থেকে সরছেন বাঙালি

ডেস্ক নিউজ | ০৬:১০ মিঃ, আগস্ট ৪, ২০১৯



মন্তব্য বিতর্কের জেরে এ বার পদত্যাগ করতে চলেছেন মার্কিন কংগ্রেসের সর্বকনিষ্ঠা সদস্য আলেজান্দ্রিয়া ওকাসিও কর্তেজের চিফ অব স্টাফ সৈকত চক্রবর্তী।

তবে, গ্রিন নিউ ডিল বা ‘নয়া সবুজ চুক্তি’ নিয়ে প্রচারের কাজ চালিয়ে যাবেন তিনি। যেটির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনে রাশ টানা যাবে আর মার্কিন অর্থনীতিকেও পাল্টে ফেলা যাবে। ভবিষ্যতে অবশ্য সৈকতের সঙ্গে ফের কাজ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন ওকাসিও কর্তেজ।

কেন সৈকত চক্রবর্তীকে সরতে হচ্ছে ? প্রথমত, স্পিকার ল্য়ান্সি পেলোসিকে চ্য়ালেঞ্জ করা, দ্বিতীয়ত, মধ্যপন্থী ডেমোক্র্যাটদের প্রতি বর্ণবৈষম্যমবলক মন্তব্য করা। এই অভিযোগ নিয়ে কিছু দিন ধরে তুলকালাম শুরু হয়েছে ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে। এ জন্য সৈকত চক্রবর্তী ও ওকাসিও কর্তেজের কমিউনিকেশন ডিরেক্টর করবিন ট্রেন্টকে দলের তরফে তলবও করা হয়।

সৈকতের পদত্যাগ নিয়ে কর্তেজের অফিস থেকে একটি বার্তায় বলা হয়েছে, ‘সৈকত চক্রবর্তী যে কাজ করেছেন সে জন্য আমরা দারুণ ভাবে কৃতজ্ঞ। কারণ, সাহসী বিষয় নিয়ে ও নিউ ইয়র্ক-১৪ (ওকাসিও কর্তেজের নির্বাচনী কেন্দ্র) এলাকার বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের স্বার্থে তিনি কাজ করেছেন। জাস্টিস ডেমোক্র্যাটস নামে অ্যাকশন কমিটি তৈরি, ওকাসিও কর্তেজের প্রচার ও তাঁর সরকারি অফিস পরিচালনা। সৈকতের লক্ষ্য ছিল, প্রগতিশীল আন্দোলনে সাহায্য করা। আশা করি, আমরা ভবিষ্যতেও একসঙ্গে কাজ করব।’

শুক্রবার, সৈকত চক্রবর্তীর পদত্যাগের কথা প্রকাশ্যে আসে। গত জুন মাসেই নিজের দলেই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। তার কারণ, টুইটারে সৈকতের একটি পোস্ট। সীমান্ত নিরাপত্তা বিল নিয়ে ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়। আর সেই বিতর্কের আগুন উস্কে দিয়েছিল সৈকত চক্রবর্তীর ওই টুইট। বিলটি সমর্থন করায় কয়েকজন ডেমোক্র্যাট সদস্যেকে তির্যক মন্তব্য করেন সৈকত। তিনি লেখেন, ‘এ বার থেকে নিউ ডেমোক্র্যাট ও ব্লু ডগ কক্যাসদের নিউ সাউদার্ন ডেমোক্র্যাট বলতে হবে।’ আর তাঁর এই মন্তব্য ঘিরেই বিতর্ক চরমে ওঠে। পরে পোস্টটি অবশ্য মুছে দিলেও, সেই আগুন নেভেনি।

তাঁর মন্তব্যের সমালোচনা করেন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিও। এই প্রথম নয়। এর আগেও, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ছবি আঁকা টি শার্ট পরার জন্যও বিভিন্ন ডানপন্থী দলগুলির আক্রমণের মুখে পড়েন সৈকত। তাঁর সমালোচনা করেন রিপাবলিকানরাও।

গত জানুয়ারিতেই মার্কিন কংগ্রেসে নির্বাচিত হন সবচেয়ে তরুণ সদস্যা আলেজান্দ্রিয়া ওকাসিও কর্তেজ। একইসঙ্গে, তাঁর উত্থানের পিছনে বাঙালি তরুণ সৈকত চক্রবর্তীর নাম উঠে আসে।

মন্তব্যঃ সংবাদটি পঠিত হয়েছেঃ 16017 বার।





এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

০২:১৯ মিঃ, এপ্রিল ৪, ২০২১

এমপি আসলাম আর নেই

সর্বশেষ আপডেট

তিন মাসে ব্রিটিশ রাজপরিবারের ৩ সদস্যের ক্যানসার শনাক্ত পররাষ্ট্রনীতিতে ফ্লপ বাইডেন ও ট্রাম্প রাফায় পূর্ণ মাত্রার অভিযান ‘ইসরায়েলকে আরও বিচ্ছিন্ন করার’ ঝুঁকিতে ফেলবে : ব্লিঙ্কেন পুতিনকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন ঈদযাত্রা নিরাপদ এবং নির্বিঘ্ন করতে ৭ সিদ্ধান্ত আইপিইউ অ্যাসেম্বলি সম্মেলনে যোগদানের জন্য স্পিকারের ঢাকা ত্যাগ জিল্লুর রহমান ছিলেন মাটি ও মানুষের নেতা : মতিয়া চৌধুরী প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান অনুকরণীয় রাজনীতিবিদ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী উন্নয়ন কাজে জনগণের কল্যাণের বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বিএনপি নেতারা ক্লান্ত, কর্মীরা হতাশ : সেতুমন্ত্রী বিএনপি সফল হলে দেশে অগণতান্ত্রিক শক্তির উত্থান হতো : তথ্য প্রতিমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিলে বলেই বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে : এনামুল হক শামীম পথশিশুদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বুথ ফেরত জরিপে বিপুল ভোটে জয়ী পুতিন ওয়াশিংটনে মিডিয়া ডিনারে ট্রাম্পের কঠোর সমালোচনায় বাইডেন বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার সাধ্য কারো নেই : ওবায়দুল কাদের নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করতে হবে : রেলপথ মন্ত্রী পাঁচ হাজার বছরের জাতিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু : পররাষ্ট্রমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর প্রদর্শিত পথই আমাদের পথ : সেতুমন্ত্রী আব্দুল হাই এমপির মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক