ঢাকা, বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১৮ ২০২৪,

এখন সময়: ০৮:৩২ মিঃ

যুক্তরাজ্য নির্বাচনে টিউলিপ-রুশনারা-রূপা-আফসানার জয়

ডেস্ক নিউজ | ০৩:৪৯ মিঃ, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯



যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে আবারও জয়ী হয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক, রুশনারা আলী এবং রূপা হক। এর আগেও ব্রিটেনের এমপি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই তিন নারী। প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হলেন আরেক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারী আফসানা বেগম।

হ্যাম্পস্টেড এন্ড কিলবার্ন এলাকা থেকে জয় পেয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি ২৮ হাজার ৮০টি ভোট পেয়েছেন। অপরদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী কনসারভেটিভ পার্টির জনি লাক পেয়েছেন ১৩ হাজার ৮৯২টি ভোট।

এর আগে ২০১৭ সালের নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন টিউলিপ। সে সময় তিনি মোট ৩৪ হাজার ৪৬৪টি ভোট পেয়েছিলেন।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রুশনারা আলী বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো থেকে জয়ী হয়েছেন। তিনি ৪৪ হাজার ৫২টি ভোট পেয়েছেন। এর আগে ২০১৭ সালে পূর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো আসন থেকে তিনি ৪২ হাজার ৯৬৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অপর ব্রিটিশ এমপি রূপা হক। তিনি লন্ডনের ইলিং সেন্ট্রাল অ্যান্ড অ্যাকটন আসনে তৃতীয়বারের মতো এমপি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। রূপা হক নির্বাচনে ২৮ হাজার ১৩২ ভোট পেয়েছেন। অপরদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ প্রার্থী জুলিয়ান গেল্যান্ট পেয়েছেন ১৪ হাজার ৮৩২ ভোট। ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো এমপি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন রূপা।

এছাড়া আফসানা বেগম প্রথমবারের মতো যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে এমপি হিসেবে জয়ী হলেন। তিনি ৩৮ হাজার ৬৬০টি ভোট পেয়েছেন। পূর্ব লন্ডনের পপলার অ্যান্ড লাইম হাউস আসনে আফসানার বিজয় অনেকটা সুনিশ্চিত বলে আগেই ধারণা করা হচ্ছিল। তার প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ দলের প্রার্থী পেয়েছেন ৯ হাজার ৭৫৬টি ভোট।

দেশটিতে আগের যেকোনো সংসদ নির্বাচনের তুলনায় এবার সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নারী প্রার্থী জয় লাভ করেছেন। এর মধ্যে দিয়ে হাউজ অব কমেন্সে রেকর্ড সংখ্যক নারীদের প্রবেশ ঘটবে। এর আগে যুক্তরাজ্যের সংসদ নির্বাচনে ৬৫০ আসনের সর্বোচ্চ ২০৮ আসনে জয় পেয়েছিলেন নারীরা।

চলতি বছরের নির্বাচনে লেবার পার্টির ভরাডুবি হলেও এই চার নারী প্রার্থী বড় জয় পেয়েছেন। ইতোমধ্যেই ৬৫০টি আসনের মধ্যে ৬০০ আসনের ফলাফল হাতে এসেছে। এর মধ্যে কনজারভেটিভ দল পেয়েছে ৩৩০টি আসন এবং লেবার পার্টি পেয়েছে ১৯৬ আসন।

নির্বাচনে জয়ী হতে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ছিল ৩২৬ টি আসন। ইতোমধ্যেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পার করে ফেলেছে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি।

১৯৮৭ সালের পর এটা কনজারভেটিভ দলের জন্য সবচেয়ে বড় জয় এবং ১৯৩৫ সালের পর লেবার দলের সবচেয়ে বড় পরাজয়। লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন আগামী নির্বাচনে দলের নেতৃত্বে থাকবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তবে তিনি এখনই পদত্যাগ করছেন না। আরো কিছু সময় দলের নেতৃত্বে থাকবেন আলোচনা চালিয়ে যাবার জন্য।

মন্তব্যঃ সংবাদটি পঠিত হয়েছেঃ 15971 বার।




সর্বশেষ আপডেট

তিন মাসে ব্রিটিশ রাজপরিবারের ৩ সদস্যের ক্যানসার শনাক্ত পররাষ্ট্রনীতিতে ফ্লপ বাইডেন ও ট্রাম্প রাফায় পূর্ণ মাত্রার অভিযান ‘ইসরায়েলকে আরও বিচ্ছিন্ন করার’ ঝুঁকিতে ফেলবে : ব্লিঙ্কেন পুতিনকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন ঈদযাত্রা নিরাপদ এবং নির্বিঘ্ন করতে ৭ সিদ্ধান্ত আইপিইউ অ্যাসেম্বলি সম্মেলনে যোগদানের জন্য স্পিকারের ঢাকা ত্যাগ জিল্লুর রহমান ছিলেন মাটি ও মানুষের নেতা : মতিয়া চৌধুরী প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান অনুকরণীয় রাজনীতিবিদ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী উন্নয়ন কাজে জনগণের কল্যাণের বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বিএনপি নেতারা ক্লান্ত, কর্মীরা হতাশ : সেতুমন্ত্রী বিএনপি সফল হলে দেশে অগণতান্ত্রিক শক্তির উত্থান হতো : তথ্য প্রতিমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিলে বলেই বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে : এনামুল হক শামীম পথশিশুদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বুথ ফেরত জরিপে বিপুল ভোটে জয়ী পুতিন ওয়াশিংটনে মিডিয়া ডিনারে ট্রাম্পের কঠোর সমালোচনায় বাইডেন বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার সাধ্য কারো নেই : ওবায়দুল কাদের নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করতে হবে : রেলপথ মন্ত্রী পাঁচ হাজার বছরের জাতিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু : পররাষ্ট্রমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর প্রদর্শিত পথই আমাদের পথ : সেতুমন্ত্রী আব্দুল হাই এমপির মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক