সংসদ বুলেটিন
সংবাদ প্রতিনিধি | ০১:০৭ মিঃ, আগস্ট ৩০, ২০১৭
‘কোন ব্যক্তি ইন্টারনেট বা ওয়েবসাইট বা মোবাইল ফোন বা অন্য কোন ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি সরবরাহ করিলে তিনি অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন। উক্তরূপ অপরাধের জন্য তিনি সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) বৎসর পর্যন্ত সশ্রম কারাদ- এবং দুই লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।’
আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দুই আইনে দণ্ডের এমন বড় ধরনের পার্থক্য নিরসনের জন্য এবং সাধারণ মানুষের হয়রানি রোধ করতেই আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, বিভিন্ন মহলের আপত্তি আছে আইসিটি আইনের ৫৭ ধারার বিষয়ে। রিটও হয়েছে হাইকোর্টে। অচিরেই ধারাটি সংশোধন করা হতে পারে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আশা করি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
এদিকে সংবিধানের ৩৯(২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে ‘৩৯ (১) চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দান করা হইল। (২) রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, বিদেশী রাষ্ট্রসমূহের সহিত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জনশৃঙ্খলা, শালীনতা ও নৈতিকতার স্বার্থে কিংবা আদালত-অবমাননা, মানহানি বা অপরাধ-সংঘটনে প্ররোচনা সম্পর্কে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ-সাপেক্ষে (ক) প্রত্যেক নাগরিকের বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারের, এবং (খ) সংবাদক্ষেত্রের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দান করা হইল।’ আইনজীবীদের মতে, সংবিধানের ওই অনুচ্ছেদের ২(ক)-এর সঙ্গে আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা সাংঘর্ষিক। এখানে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। কিন্তু আইসিটি আইনে তাতে বাধা দেয়া হয়েছে।
মন্তব্যঃ সংবাদটি পঠিত হয়েছেঃ 35329 বার।