ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার শক্তি কোনো দলের নেই : তথ্যমন্ত্রী
ডেস্ক নিউজ: | ০১:০৮ মিঃ, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২০
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে মোকাবিলা করার শক্তি বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক দলের নেই।
মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ রংপুর বিভাগীয় নেতাদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সাংগঠনিকভাবে আমরা যদি শক্তিশালী হতে পারি, একই সাথে যদি ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি, ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে মোকাবিলা করার শক্তি বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক দলের নেই। ঢাকা সিটি নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার কারণে প্রায় দ্বিগুণ ভোট পেয়ে আমাদের মেয়র প্রার্থীরা জয়লাভ করেছে। সুতরাং আমাদের সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করা প্রয়োজন।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে আমাদের সাংগঠনিক শক্তির পাশাপাশি যে কারণে আওয়ামী লীগ আজকে পরপর তিনবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়, তা হলো, সংকট মোকাবিলায় জননেত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য ধৈর্য্য, মেধা এবং দৃঢ়তা। এবং আমরা জনগণের সমর্থন ব্যতিরেকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকতে চাই না; কিন্তু জনগণ যদি সমর্থন দেন, অবশ্যই আমরা আবারও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা আসবো।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সরকারের উন্নয়নের বার্তাগুলো যদি জনগণের কাছে আমরা পৌঁছে দিতে পারি এবং একই সাথে আমাদের দলের নেতা-কর্মীরা যদি বিনয়ী হয়, যারা উদ্ধত আচরণ করে, তাদেরকে যদি আমরা নিবৃত্ত করতে পারি, তাহলে জনগণ অব্যাহতভাবে আমাদেরকেই ভোট দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দেবেন।’
সাংগঠনিক শক্তির কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত এই নেতা বলেন, ‘পরপর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকার কারণে আমাদের কারো কারো মধ্যে আলস্য এসেছে। অনেক ক্ষেত্রে সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ে কিছু সুবিধাবাদীর অনুপ্রবেশ ঘটেছে। একটি বার্তা দেয়া হয়েছিল সংগঠনকে সুবিধাবাদী ও অনুপ্রবেশকারীদের হাত থেকে মুক্ত করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে সেটি করা সম্ভব হয়েছে, পুরোপুরি হয়নি।’
নেতা-কর্মীদের নৈতিকতা ও সম্মেলনের ধারাবাহিকতার ওপর জোর দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘একই সাথে আমি মনে করি সংগঠনের মধ্যে নৈতিকভাবে আমাদের নেতা-কর্মীদের আরো সমৃদ্ধ করা প্রয়োজন। অবক্ষয় থেকে আমাদের রাজনীতিকে মুক্ত রাখতে হবে। এজন্য সংগঠনের নেতা-কর্মীদের আদর্শিক ও নৈতিক মনোবল বৃদ্ধি এবং রাজনীতি যে একটি ব্রত, সেটি তাদের মধ্যে প্রোথিত করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সেই লক্ষ্য নিয়েই আমাদের কাজ করতে হবে। কিছু সম্মেলন এখনো হয়নি। দলের নির্দেশনা আছে ৬ মার্চের মধ্যে সম্মেলন শেষ করতে হবে। মুজিববর্ষকে সামনে রেখে তার আগেই যারা সম্মেলন করবেন তাদের সম্মেলন সফল করতে হবে। নেহায়েত প্রয়োজন না হলে উপজেলা সম্মেলন বাদ দিয়ে জেলা সম্মেলন করা সমীচীন হবে না।’
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, আসাদুজ্জামান নূর এমপি, কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, দলের কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্যঃ সংবাদটি পঠিত হয়েছেঃ 15923 বার।