দুর্বৃত্তায়ন কারণে রাজনৈতিক নেতারা হেয় হচ্ছেন: নাসিম
ডেস্ক নিউজ: | ০৮:১০ মিঃ, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২০
‘গুটি কয়েক দুর্বৃত্তের কারণে রাজনৈতিক নেতারা হেয় হচ্ছেন জানিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনলে দুর্বৃত্তায়ন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম এর উদ্যোগে ‘সাংস্কৃতিক জাগরণ ও প্রগতিশীল সমাজ বিনির্মাণে নেতৃত্বের ভূমিকা এবং আমাদের প্রধানমন্ত্রী’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, ‘ধর্মান্ধ জঙ্গিরা তাদের কাজে সফল হলে দেশ ধ্বংস হয়ে যেত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে দেশবাসী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সাথে করে এ সকল ধর্মান্ধ জঙ্গিদের সমূলে ধ্বংস করেন। এখন মা-বাবারাও জঙ্গি সন্তানদের গ্রহণ করতে চায় না। সমাজে সাংস্কৃতিক জাগরণের ফলেই এটি সম্ভব হচ্ছে। তরুণদের নিয়ে ভবিষ্যৎ সাংস্কৃতিক জাগরণে দেশ আরো এগিয়ে যাবে। যেটা সংস্কৃতিমনা নেত্রী শেখ হাসিনার জন্যই সম্ভব।’
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘পূর্বেও বাঙালি সংস্কৃতি আগ্রাসনের চেষ্টা করা হয়েছিল। বাঙালিদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার জন্য শত্রুরা ভাষার ওপর আক্রমণ করে। কিন্তু বাঙালিরা তাদের সকল দাবি আদায় করেছিল। মুক্তিযুদ্ধ, বাঙালি সংস্কৃতি, পহেলা বৈশাখ বিরোধিতাকারীরা তখনও ছিল, এখনও রয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘শুধুমাত্র র্যাব-পুলিশ দিয়ে সমাজ হতে সম্পূর্ণরূপে জঙ্গিবাদ দূর করা সম্ভব নয়। সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা ও প্রগতিশীল সমাজ বিনির্মাণে সাংস্কৃতিক জাগরণের ভূমিকা অনস্বীকার্য, আর এর জন্য প্রয়োজন দক্ষ নেতৃত্বের।’
সেমিনারে ‘সাংস্কৃতিক জাগরণ ও প্রগতিশীল সমাজ বিনির্মাণে নেতৃত্বের ভূমিকা এবং আমাদের প্রধানমন্ত্রী’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট কলামিস্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ। প্রবন্ধে যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিভাবে দেশে সাংস্কৃতিক জাগরণ ও প্রগতিশীল সমাজ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখছেন সেই প্রসঙ্গ ওঠে এসেছে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া) এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী, সাবেক আইজিপি ও কলামিস্ট এ কে এম শহীদুল হক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন এবং কলামিস্ট অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস বক্তব্য প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- সৌরভ জাহাঙ্গীর, জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম ও প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল। এসময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ এবং প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্যঃ সংবাদটি পঠিত হয়েছেঃ 15927 বার।