ঢাকা, বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১৮ ২০২৪,

এখন সময়: ১১:০৯ মিঃ

শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন নয়- খালেদা জিয়া

সংবাদ প্রতিনিধি | ১২:১১ মিঃ, নভেম্বর ১৩, ২০১৭



প্রায় ১৮ মাস পর ঢাকার সমাবেশ থেকে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে হবে না, হাসিনার অধীনে তো নয়ই। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। এতে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে মোতায়েন করতে হবে। ইভিএম চলবে না, বন্ধ করতে হবে। গোয়েন্দা সংস্থার লোক বিদেশ পাঠিয়ে প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। একই সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে চীন, রাশিয়া, ভারতসহ পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান।

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গতকাল (১২ নভেম্বর) রোববার জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। দীর্ঘদিন পর বিএনপি ঢাকায় সমাবেশ করার অনুমতি পাওয়ায় এ নিয়ে নেতাকর্মীর মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস ছিল। এতে ঢাকার আশপাশের জেলা থেকেও নেতাকর্মীরা অংশ নিয়েছে।

বক্তব্যের শুরুতে সমাবেশে নেতাকর্মীদের আসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, অনুমতি দেওয়া হলেও সমাবেশমুখী মানুষদের রাস্তায় রাস্তায় বাধা দেওয়া হয়েছে। হোটেল ও বাড়ি-বাড়ি তল্লাশি চালানো হয়। এমনকি তাকেও বাধা দেওয়া হয়েছে। তিনি যাতে সমাবেশে আসতে না পারেন, সে জন্য গুলশানের বাড়ি থেকে বের হয়ে দেখেন রাস্তায় যাত্রীহীন গাড়ি ফেলে রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। এতে সরকার ছোট মনের পরিচয় দিয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সমাবেশস্থলে এসে পৌঁছান খালেদা জিয়া। দুপুরের আগে থেকে নেতাকর্মীর দলে দলে আসতে শুরু করে। পড়ন্ত বিকালে যখন বিএনপি চেয়ারপারসন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এসে পৌঁছেন তখন একদিকে শাহবাগ অন্যদিকে মৎস্য ভবন ছাড়িয়ে পুরো এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে। জনসভা সুশৃঙ্খল রাখতে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলের দুই হাজারের বেশি নেতাকর্মী নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করা হয়েছিল।

বিকাল ৪টা ১০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তিনি জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়ে বলেন, রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনতে চায় তার দল। বহুদলীয় গণতন্ত্রে মতপার্থক্য থাকবে। তারপরও জনগণের জন্য এক হয়ে কাজ করে দেশের উন্নয়ন করতে হবে। অনুপস্থিত গণতন্ত্র, কথা বলার অধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার জন্য কাজ করতে হবে। জবাবদিহিমূলক সরকার ও কার্যকর সংসদ গঠন এবং ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এসব করতে হবে সরকার ও ক্ষমতার বাইরে থাকা বিভিন্ন দল ও মতের লোকদের সঙ্গে কথা বলে, আলোচনার মাধ্যমে। তা হলে জাতীয় ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে, সমস্যার সমাধান বের হবে।

নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, ‘সরকার কী বলতে চায় আপনারা শুনবেন। কিন্তু তাদের অন্যায় দাবি মানবেন না। সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। তাদের নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কথা বলতে হবে। কারণ শেখ হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না, হবে না।’

বক্তব্যে শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাওয়া যাবে না, তার অধীনে নির্বাচন হবে না এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে বলে কয়েকবার মন্তব্য করেন। জোর গলায় তিনি বলেন, জনগণ নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না, আর শেখ হাসিনার অধীনে তো হবেই না। তার দলও নির্বাচনে যাবে না। নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। এর পক্ষে সরকারের অধীনে নির্বাচনগুলোয় কারচুপির অভিযোগসহ বেশ কয়েকটি যুক্তি তুলে ধরেন তিনি।

তিনি বলেন, তার দল সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। তাদের টহল দেওয়ার অনুমতি দিতে হবে। ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) চলবে না, বন্ধ করতে হবে। বিএনপি ইভিএম চায় না। কিন্তু ইসি এর বিপক্ষে কথা বলছে।

প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগে বাধ্য করার অভিযোগ এনে তিনি বলেন, এসকে সিনহাকে জোর করে অনুস্থ বানিয়ে দেশের বাইরে পাঠানো হয়েছে। তিনি দেশে আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দেশের বাইরে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন পাঠিয়ে চাপ প্রয়োগ করে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। কারণ তিনি সত্য কথা বলেছেন। নিন্ম আদালত সরকার নিয়ন্ত্রণ করছে বলে অভিযোগ করেছিলেন। এ সরকারের আমলে সত্যি বললে যে দোষ তা আবার প্রমাণ হয়েছে, এবার এসকে সিনহাকে বিদায় করা হয়েছে।

ক্ষমতায় গেলে প্রতিহিংসা না করে আওয়ামী লীগ নেতাদের শুদ্ধ করার কথা বললেন খালেদা জিয়া। বলেন, ‘অনেক দিন জোর করে ক্ষমতায় আছেন। নির্বাচন দিলে কী হয় দেখেন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেছিলেন, পিঠ বাঁচাতে তাদের ক্ষমতায় আসতে হবে। কিন্তু আমরা আপনাদের মারব না, কারণ সহিংতায় আমরা বিশ্বাস করি না। আপনাদের শুদ্ধ করব। গুম-খুন খারাপ কাজ। এগুলো বাদ দিয়ে আপনাদের সত্যিকারের মানুষ বানাবার চেষ্টা করব।’

তার অভিযোগ, আওয়ামী লীগ আবার একদলীয় বাকশালের মতো অঘোষিতভাবে একদলীয় বাকশাল কায়েম করতে চায়। মানুষ গুম-খুন করছে। জেলখানা বিএনপির লোক দিয়ে ভরে রাখা হয়েছে। নেতাকর্মীদের মামলা দিচ্ছে। তাদের লোকজন খুন করেও মাফ পেয়ে যাচ্ছে। তারপরও তিনি ক্ষমা করে দিতে চান। কিন্তু জনগণ রাজি নয়। সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে চান। রাজনীতির সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে চান। মানুষও পরিবর্তন চায়। এ পরিবর্তন ভোটের মাধ্যমে আসতে হবে। এ জন্য মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। কারণ শেখ হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না, হবে না। তারা বোঝে না, চুরি করে জেতার মধ্যে আনন্দ নেই।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং নানা অনিয়মের জন্য সরকারের সমালোচনা করে বিএনপিপ্রধান বলেন, ১০ টাকার চাল খাওয়ানোর কথা, এখন তা ৭০ টাকা। সবজির দাম ৭০ টাকার কম নয়, পেঁয়াজ ৮০ টাকা। কৃষকদের ভয় দেখিয়ে চাল সংগ্রহ করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ঘরে ঘরে বেকার সৃষ্টি করা হচ্ছে। উন্নয়নে নামে লুটপাট চলছে। ব্রিজ নির্মাণ করতে ইউরোপ-আমেরিকার চেয়ে ব্যয় বেশি করছে। শিক্ষাঙ্গন নিয়ন্ত্রণ করছে ছাত্রলীগ। শিক্ষকদের মারধর করা হয়েছে। নারী ও শিশুদের গণঅত্যাচারে নতুন নতুন পদ্ধতি ‘আমদানি’ করছে সরকার। ট্রাকে ও বাসে গণঅত্যাচারও করা হচ্ছে।

অর্থনীতি ধ্বংসের পথে এমন মন্তব্য করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুইস ব্যাংকে তাদের মন্ত্রী-এমপিরা টাকা পাচার করছে। ২০১৫ সালে দেশের বাইরে ৫ হাজার কোটি টাকা গেছে। জিএফআইয়ের তথ্য মতে, গত ১০ বছরে সাড়ে ৪ লাখ টাকা পাচার হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ৮শ কোটি টাকা পাচারের ঘটনাও ঘটেছে এ সরকারের আমলে।

এসবের তদন্ত না করায় দুদকের সমালোচনা করে তিনি বলেন, দুদক এসব দেখে না। পানামা কেলেঙ্কারির তদন্ত করছে না। বিএনপি জড়িত না থাকলেও শুধু তাদের পেছনে আছে। সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা চুরি করলেও তাদের পেছনে হাত তো দূরের কথা, চোখও যায় না।

পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভয় দিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনাদের সাথে আমাদের বিরোধ নেই। আমরা ক্ষমতায় গেলে কারো চাকরি যাবে না। যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি ও পদোন্নতি হবে।’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা জাতীয় সমস্যা। একসঙ্গে বসে এর সমাধান বের করতে হবে। আন্তর্জাতিক সংস্থা, চীন, ভারত, রাশিয়া, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রকে রোহিঙ্গাদের নির্ভয়ে দেশে ফেরার ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের মিয়ানমারের নাগরিকত্ব দিতে হবে। মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দেওয়া হলেও বেশিদিন তাদের রাখা সম্ভব নয়। এ বিষয়ে জিয়াউর রহমানের আমলে এবং তার সময়ে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধান করার কথা উল্লেখ করে সরকারকে তা অনুসরণ করার পরমার্শ দেন।

ফেনীতে তার বহরে সাংবাদিক ও নেতাদের ওপরে আওয়ামী লীগ হামলার করার পরও উল্টো বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ঢাকায় ফেরার পথেও বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। বাসে আগুন দেওয়ার সংস্কৃতি আওয়ামী লীগের। শাহবাগে বাসে গানপাউডার দিয়ে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা তারাই করেছিল।

সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির কার্যক্রমের সমালোচনা করে তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে সংসদে কোনো বিরোধী দল নেই।

সমাবেশের শেষের দিকে একই দিন ঢাকায় দুই দল সমাবেশ করলে কার লোক সমাগম বেশি হয় তার চ্যালেঞ্জ দেন বিএনপিপ্রধান। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সভাপতিত্ব করেন। সভা পরিচালনা করেন প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম। বক্তব্য রাখেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বরচন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান, হাফিজউদ্দিন আহমদ, বরকতউল্লাহ বুলু, মো. শাহজাহান, খন্দকার মাহবুব হোসেন, ডা. জাহিদ হোসেন, জয়নুল আবদিন, শওকত মাহমুদ, আমানউল্লাহ আমান, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, মাহবুবউদ্দিন খোকন, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী সোহেল, হারুন অর রশীদ প্রমুখ।

অঙ্গসংগঠনের মধ্যে সাইফুল আলম নিরব, শফিউল বারী বাবু, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, আবদুল কাদের ভূঁইয়া, আফরোজা আব্বাস, রাজীব আহসান, ডা. মামুন আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

মন্তব্যঃ সংবাদটি পঠিত হয়েছেঃ 16300 বার।





এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ আপডেট

তিন মাসে ব্রিটিশ রাজপরিবারের ৩ সদস্যের ক্যানসার শনাক্ত পররাষ্ট্রনীতিতে ফ্লপ বাইডেন ও ট্রাম্প রাফায় পূর্ণ মাত্রার অভিযান ‘ইসরায়েলকে আরও বিচ্ছিন্ন করার’ ঝুঁকিতে ফেলবে : ব্লিঙ্কেন পুতিনকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন ঈদযাত্রা নিরাপদ এবং নির্বিঘ্ন করতে ৭ সিদ্ধান্ত আইপিইউ অ্যাসেম্বলি সম্মেলনে যোগদানের জন্য স্পিকারের ঢাকা ত্যাগ জিল্লুর রহমান ছিলেন মাটি ও মানুষের নেতা : মতিয়া চৌধুরী প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান অনুকরণীয় রাজনীতিবিদ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী উন্নয়ন কাজে জনগণের কল্যাণের বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বিএনপি নেতারা ক্লান্ত, কর্মীরা হতাশ : সেতুমন্ত্রী বিএনপি সফল হলে দেশে অগণতান্ত্রিক শক্তির উত্থান হতো : তথ্য প্রতিমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিলে বলেই বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে : এনামুল হক শামীম পথশিশুদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বুথ ফেরত জরিপে বিপুল ভোটে জয়ী পুতিন ওয়াশিংটনে মিডিয়া ডিনারে ট্রাম্পের কঠোর সমালোচনায় বাইডেন বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার সাধ্য কারো নেই : ওবায়দুল কাদের নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করতে হবে : রেলপথ মন্ত্রী পাঁচ হাজার বছরের জাতিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু : পররাষ্ট্রমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর প্রদর্শিত পথই আমাদের পথ : সেতুমন্ত্রী আব্দুল হাই এমপির মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক