গুয়াহাটিতে যাচ্ছেন অমিত শাহ
ডেস্ক : | ০৭:০৯ মিঃ, সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৯
আসামের জাতীয় নাগরিকপঞ্জি তালিকা (এনআরসি) প্রকাশের পর রাজ্যের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ৮ সেপ্টেম্বর গুয়াহাটি যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গতকাল সোমবার সরকারি সূত্রে এ খবর জানা গেছে। অমিত শাহ দুই দিনের এ সফরে উত্তর–পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
অমিত শাহর সফর পূর্বনির্ধারিত হলেও এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর সব মহলের ক্ষোভের কারণে তাঁর আসাম ভ্রমণ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর যাওয়ার কথা নর্থ ইস্টার্ন কাউন্সিলের (এনইসি) বৈঠকে যোগ দিতে। কিন্তু সেই বৈঠক গৌণ হয়ে মুখ্য হয়ে উঠেছে রাজ্যজোড়া এনআরসিজনিত হতাশা ও ক্ষোভ। এনআরসি বিজেপির দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক দাবি হলেও চূড়ান্ত তালিকা কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসক দলকে চরম অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে। এতটাই যে বিজেপির রাজ্য নেতারা সবাই একযোগে এই তালিকা খারিজ করেছেন। তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, যাঁদের নাম তালিকায় ওঠেনি, তাঁদের মধ্যে হিন্দুদের সংখ্যা কোন যুক্তিতে এত বেশি এবং কী করেই-বা মুসলমান বাঙালিদের সংখ্যা এত কম হয়? রাজ্য বিজেপি নেতারা ‘বিদেশি’ খোঁজা নিয়ে গত চার বছরের এই প্রক্রিয়াকে ‘পর্বতের মূষিক প্রসব’ বর্ণনা করে বলেছেন, হিন্দুস্তানে কিছুতেই হিন্দুরা বিদেশি হতে পারে না।
বিজেপির ক্ষোভের প্রধান কারণ তাদের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক দাবি পূরণ না হওয়া। তাদের লক্ষ্য ছিল ‘বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে চলে আসা মুসলমান’, যারা আসামের জনসংখ্যার ভারসাম্য ‘নষ্ট’ করে দিয়েছে। কিন্তু দেখা গেল, মুসলমান বাঙালিদের তুলনায় এনআরসিতে বেশি বাদ পড়েছেন হিন্দু বাঙালি। আসামের বিজেপি নেতারা এই অঙ্কটা কিছুতেই মেলাতে পারছেন না। তাঁদের চোখে এনআরসির কো–অর্ডিনেটর প্রতীক হাজেলা তাই এই মুহূর্তের সবচেয়ে বড় খলনায়ক। দুর্নীতির অভিযোগও বড় হয়ে উঠেছে। আসামের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা সোমবারও বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছেন, ১৯৭১ সালের অনেক আগে তৎকালীন পূর্ববঙ্গ থেকে আসামে চলে আসা বহু হিন্দু বাঙালি শরণার্থীদের নাম এনআরসিতে গ্রাহ্য হয়নি। সেই সময় তাঁদের দেওয়া ‘রিফিউজি সার্টিফিকেট’ গণ্য করা হয়নি। হিমন্ত এ কারণে সোমবার নতুন করে তাঁর পুরোনো দাবি জানিয়ে বলেছেন, সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর ২০ শতাংশ এবং অন্য জেলাগুলোর ১০ শতাংশ তালিকা নতুন করে পরীক্ষা হোক।
মন্তব্যঃ সংবাদটি পঠিত হয়েছেঃ 16019 বার।