পাপুল আসন খালি হতে পারে
ডেস্ক নিউজ : | ০৬:৫৮ মিঃ, জুলাই ৮, ২০২০
বুধবার (৮ জুলাই) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ ‘মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেফতার হওয়া লক্ষীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপুল সম্পর্কে সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করলে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘যে সংসদ সদস্যের কথা বলা হয়েছে সে কিন্তু স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য। সে কিন্তু নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য নমিনেশন চেয়েছিল আমি কিন্তু দেইনি। সে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য। নির্বাচনে ওই সিট জাতীয় পার্টিকে দিয়েছিলাম। জাতীয় পার্টির নোমান নমিনেশন পেয়েছিল সে নির্বাচন করেনি, ফলে ওই লোক জিতে আসে। এরপর আবার তার স্ত্রীকে যেভাবে হোক সংসদ সদস্য বানায়। কাজেই সে আমাদের করা না সংসদ সদস্য নয়।’
সংসদ সদস্য পাপুল সম্পর্কে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের ব্যাখা তুলে ধরে বলেন, ‘সংসদে নির্বাচিত হবার যোগ্যতা এবং অযোগ্যতা সম্পর্কে যে বিষয়টি বিবৃতিতে রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে তিনি কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করেন কিংবা কোনো বিদেশি রাষ্ট্রর আনুগত্য স্বীকার করে তাহলে সে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচন করার যোগ্য হবে না। পঞ্চদশ সংশোধনীতে আরও অধিকতর সংশোধন করা হয়েছিল। ২(ক) দফার পরিবর্তে নিম্নরূপ ২(ক) দফা প্রতিস্থাপিত হবে যথা ২(ক) এই অনুচ্ছেদের ২ দফার (গ) উপদফাতে যা কিছুই থাকুক না কেন কোনো ব্যক্তি জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করলে এবং পরবর্তীতে উক্ত ব্যক্তি দ্বৈত নাগরিকত্ব গ্রহণের ক্ষেত্রে বিদেশী নাগরিকত্ব ত্যাগ করিলে কিংবা অন্যক্ষেত্রে পুনরায় বাংলাদেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করিলে এই অংশের উদ্দেশ্য সাধনকল্পে তিনি বিদেশ নাগরিকত্ব অর্জন করিয়েছেন বলে গণ্য হইবে না।
হারুনুর রশীদ আরও বলেন, ‘এই সংসদের একজন সদস্য পাপুল। পত্রপত্রিকার রেফারেন্স দিয়ে বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছেন সে কুয়েতের নাগরিক হিসেবে সেখানে গ্রেফতার হয়েছে। আজকে যদি সত্যি কুয়েতের নাগরিকত্ব গ্রহণ করে থাকে তাহলে এই ব্যাপারে মাননীয় স্পিকার আপনাকে এই সুস্পষ্ট ব্যাখা দিতে হবে।’
কারণ নিশ্চই পররাষ্ট্রমন্ত্রী তথ্য সংগ্রহ করেই বলেছেন। ইমিগ্রেশনে সে যে পাসপোর্ট ব্যবহার করে কুয়েতে গেছে, নিশ্চই সরকারি পাসপোর্ট নয়। তাহলে নিঃসন্দেহে সে বিদেশি নাগরিক। বিদেশি নাগরিক হিসেবে সে স্যারেন্ডার করে নাই। তথ্য গোপন করেছে নির্বাচনের সময়। আজকে সে এই অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। এ ব্যাপারে সংবিধান অনুযায়ী সুস্পষ্ট ঘোষণা থাকা দরকার।
এছাড়া রিজেন্ট হাসপাতাল নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তোলার পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকেই ধরেছি। প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে এবং অনিয়মগুলো খুঁজে বের করেছি। ইতোমধ্যে গ্রেফতারও করা হয়েছে। ওই হাসাপতালের এই তথ্য কিন্তু আগে কেউ দেয়নি, জানাতে পারেনি। অন্য কেউ জানায়নি।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকেই খুঁজে বের করেছি, ব্যবস্থা নিয়েছি। র্যাব গেছে সেখানে, সেখান থেকে খুঁজে বের করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
মন্তব্যঃ সংবাদটি পঠিত হয়েছেঃ 15735 বার।