নিম্নমানের কাজ, অনিয়ম-দূর্নীতি কোন অবস্থাতেই সহ্য করা হবে না : তাজুল ইসলাম
ডেস্ক নিউজ: | ০৯:৪৪ মিঃ, আগস্ট ১০, ২০২০
স্থানীয় সরকার. পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, দেশের উন্নয়নে অবকাঠামো ও নির্মাণ প্রকল্পে গুনগতমান নিশ্চিত করতে সাহসিকতার সাথে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
কোন বাঁধার কাছে নতি স্বীকার না করার পরামর্শ দিয়ে সাহসিকতার সাথে কাজ করতে তিনি সোমবার (১০ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ের নিজ কক্ষ থেকে এক অনলাইন সভায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন মাঠ পর্যায়ে কর্মরত প্রকৌশলীদের এ নির্দেশ দেন।
মাঠ পর্যায়ের প্রকৌশলীদের উদ্দেশ্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘কাজের গুণগত মান সবসময় নিশ্চিত করতে হবে। নিম্নমানের কাজ, অনিয়ম-দূর্নীতি কোন অবস্থাতেই সহ্য করা হবে না বলে সতর্ক করেন মন্ত্রী। অনিয়ম-দূর্নীতির সাথে যেই জড়িত থাকুক না কেন তাদেরকে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।’
মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর-এলজিইডিতে অত্যন্ত বিচক্ষণ মেধাবী যোগ্য প্রকৌশলীরা আছেন যারা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নে অবদান রাখছেন এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ব্যাপক পরিবর্তন হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর মাঠ পর্যায়ে যাবতীয় উন্নয়নমূলক কাজের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ৬৪ টি জেলার নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে মাননিয়ন্ত্রণ ল্যাবরেটরি স্থাপন করেছে। যেখানে উন্নয়ন কাজে ব্যবহৃত নির্মাণসামগ্রীর গুণগত মান পরীক্ষা করা হয়।
তাজুল ইসলাম বলেন, ঠিকাদার কাজের জন্য যে সকল নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করবেন সেগুলো টেস্ট করার জন্য এখন আর ঢাকায় আসতে হয় না। তাই ঠিকাদারের কাজের গুণগতমান এখন খুব সহজেই নির্ণয় করা যায়।
তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা যা সম্পূর্ণ রাস্তায় বক্স একবারে কেটে ফেলে রাখা হয়, এটি করা যাবে না এবং বক্স কেটে বেড ফিলিং করে অবশ্যই রোলার করতে হবে।
দেশে পেশাদার ঠিকাদার তৈরি করার উপর গুরুত্বারোপ করে তাজুল ইসলাম ঠিকাদারদের নিম্নমানের কাজের জন্য তাদের শাস্তির আওতায় আনতে একটি গাইডলাইন প্রস্তুত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
গ্রামীন রাস্তাঘাট নির্মাণের সময় যাতে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার না হয় সেজন্য মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে মাঠ পর্যায়ের প্রকৌশলীদের তিনি নির্দেশ দেন।
উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ অবশ্যই টেকসই, মানসম্পন্ন ও উৎপাদনশীল হতে হবে জানিয়ে মন্ত্রী কাজে গতি আনতে প্রত্যেক কাজের জন্য বছরের শুরুতেই একটি ওয়ার্ক প্ল্যান বা কর্মপরিকল্পনা তৈরির উপরও গুরুত্বারোপ করেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী, অতিরিক্ত প্রকৌশলী এবং জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীসহ মাঠ পরযায়ের প্রকৌশলীগণ সভায় অংশ নেন।
মন্তব্যঃ সংবাদটি পঠিত হয়েছেঃ 15937 বার।