৫৭ ধারার বাস্তবতা
| ০১:৪৪ মিঃ, আগস্ট ২৭, ২০১৭
অনেক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় তুলে ৫৭ ধারা কি থাকছে না থাকছে না-এমন প্রশ্নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের ৫৭ ধারা থাকছে না বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘নতুন ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। এ আইনে ৫৭ ধারার বিষয়টি পরিষ্কার করা হবে। বর্তমান সরকারের বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নেয়ার যে কোনও ইচ্ছা নেই, তা এই আইনে প্রমাণ করে দেয়া হবে।’
মঙ্গলবার (২ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমি মিলনায়তনে শিশু-কিশোর সংগঠন খেলাঘরের ৬৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সাংবাদিক বজলুর রহমান ভাইয়া স্মৃতিপদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, ‘নতুন ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের খসড়া বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ে ভোটিং পর্যায়ে আছে। অচিরেই এর অস্পষ্টতা দূর করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীসহ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে চূড়ান্ত খসড়া প্রণয়ন করা হবে।’
এদিকে উচ্চ আদালতে রিট ও বিভিন্ন মহলের সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে অবশেষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের ৫৭ ধারা সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানা গেছে, তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২-এর ৮(৩) ধারায় অপরাধ একই রকম হলেও দণ্ড ভিন্ন হওয়ায় কিছুটা জটিল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তাই বিভিন্ন মহলের দাবি বিবেচনা করে সংশোধন করা হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা। সংশোধিত এ আইনে আইসিটি আইনের দণ্ড নির্ধারিত হতে পারে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের দণ্ডের সমান।
সূত্রে জানা গেছে, তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে অপরাধের ধরন একই রকম হলেও দণ্ডের বিধান ভিন্ন। আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় সর্বোচ্চ সাজা ১৪ বছর এবং জরিমানা এক কোটি টাকা হলেও পর্নোগ্রাফি আইনে এ ধরনের অপরাধের সাজা সর্বোচ্চ ৫ বছর এবং জরিমানা দুই লাখ টাকা।
বহুল আলোচিত ৫৭ ধারা প্রসঙ্গে প্রধান তথ্য কমিশনার বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার অপপ্রয়োগ হতে পারে। সেই সুযোগ আছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার হতে পারে। এটা প্রতিরোধের প্রয়োজন আছে। আবার একই সাথে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার ব্যাপারে সঠিকভাবে ব্যবস্থাটি গৃহীত হচ্ছে না এটাও আছে। সুতরাং এটা দুই দিক থেকেই বড় ধরণের একটা চ্যালেঞ্জ।’
মন্তব্যঃ সংবাদটি পঠিত হয়েছেঃ 17261 বার।